হযরত মুহাম্মদ সাঃ
জীবনী সংক্ষেপ
১. শৈশব ও যৌবনকাল:
শৈশব থেকেই তিনি সততা, আমানতদারি ও উত্তম চরিত্রের জন্য পরিচিত ছিলেন।
তাঁকে "আল-আমিন" (বিশ্বস্ত) এবং "আস-সাদিক" (সত্যবাদী) উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
২. পয়গামবরী লাভ:
৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি লাভ করেন। এখান থেকেই তাঁর নবুয়ত শুরু হয়।
৩. ইসলামের প্রচার:
প্রথমে তিনি গোপনে এবং পরে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করেন।
অনেক প্রতিকূলতা, অত্যাচার ও নিপীড়নের সম্মুখীন হন, তবে ধৈর্য এবং প্রজ্ঞার সাথে ইসলাম প্রচার চালিয়ে যান।
৪. হিজরত:
মক্কার কাফেরদের অত্যাচারের কারণে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মদিনায় হিজরত করেন। এখান থেকে ইসলামের বিস্তার দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৫. মদিনা জীবন ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা:
মদিনায় তিনি প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ববোধ, এবং মানবাধিকারের ভিত্তিতে একটি আদর্শ সমাজ গড়ে তোলেন।
৬. বিদায় হজ্ব:
১০ হিজরিতে বিদায় হজ্বে তিনি মুসলমানদের জন্য একটি ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন, যেখানে মানবাধিকার, নারীর অধিকার, এবং ইসলামের মৌলিক দিকনির্দেশনা ছিল স্পষ্ট।
৭. পর্দা করেন
৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ৬৩ বছর বয়সে তিনি মদিনায় ইন্তেকাল করেন এবং এখানেই তাঁর কবর স্থাপন করা হয়।
শিক্ষা ও আদর্শ
তাঁর চরিত্র: হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চরিত্র ছিল পবিত্র কুরআনের প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিকেই মানুষ আদর্শ খুঁজে পায়।
মানবতার বার্তা: ইসলাম শুধু ধর্ম নয়, এটি মানবতার একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন শান্তি, সহমর্মিতা, এবং মানবকল্যাণের।
উক্তি:
"তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর প্রতি সদয়।"
"তুমি এমনভাবে জীবনযাপন করো যেন তুমি চিরকাল বেঁচে থাকবে, কিন্তু মৃত্যু তোমার নিকটে রয়েছে ভেবে সদা প্রস্তুত থাকো।"
আপনার কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্ন থাকলে তা জানালে বিস্তারিত উত্তর দিতে পারব।